Header Ads Widget

Responsive Advertisement

মাঝ সমুদ্রে বিস্ফোরণের পর এলএনজি ট্যাংকারে আগুন

 

ছবি : সংগৃহীত


মাঝ সমুদ্রে বিস্ফোরণের পর এলএনজি ট্যাংকারে আগুন


ইয়েমেন উপকূলে এডেন উপসাগরে একটি তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) ট্যাঙ্কারে বিস্ফোরণের পর আগুন লেগেছে। যুক্তরাজ্যের সামুদ্রিক নিরাপত্তা সংস্থা অ্যামব্রে এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের নৌ টাস্ক ফোর্স এ তথ্য জানিয়েছে।

আমব্রে জানিয়েছে, শনিবার ইয়েমেনের দক্ষিণ উপকূল আহওয়ার থেকে প্রায় ৬০ নটিক্যাল মাইল (১১০ কিলোমিটার) দক্ষিণে এডেন উপসাগরে এই ঘটনা ঘটে। খবর আলজাজিরার।

যুক্তরাজ্যের মেরিটাইম ট্রেড অপারেশনস (ইউকেএমটিও) জানিয়েছে, এমভি ফ্যালকন নামের জাহাজটি একটি অজানা প্রজেক্টাইলের আঘাতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। যার ফলে সেটিতে আগুন লেগেছিল। এ ব্যাপারে কর্তৃপক্ষ তদন্ত করছে।

আমব্রে জাহাজটিকে ক্যামেরুনের পতাকাবাহী ট্যাঙ্কার হিসেবে বর্ণনা করেছে। এটি ওমানের সোহার থেকে জিবুতি যাচ্ছিল।

ইইউর নৌবাহিনী অ্যাসপাইডস জানিয়েছে, বিস্ফোরণের কারণ স্পষ্ট নয়। প্রাথমিক তথ্য অনুযায়ী, জাহাজের ১৫ শতাংশ আগুনে পুড়ে গেছে।

আরও বলা হয়েছে, এমভি ফ্যালকনের ২৬ জন ক্রু সদস্যের মধ্যে ২৪ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে। দুজন নিখোঁজ রয়েছে বলে জানা গেছে। উদ্ধার অভিযান চলছে।

অ্যামব্রে উল্লেখ করেছে, সাধারণত ইয়েমেনের হুথি বিদ্রোহীরা যেসব জাহাজ লক্ষ্যবস্তু করে; এলএনজি ট্যাঙ্কারটি সেসবের শ্রেণিভুক্ত ছিল না।

সাবা সংবাদ সংস্থার মতে, প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের একজন হুথি কর্মকর্তা বলেছেন- শনিবারের ঘটনার সঙ্গে ইয়েমেনি গোষ্ঠীর কোনো যোগসূত্র নেই।

গাজার বিরুদ্ধে ইসরায়েলের যুদ্ধের সময় ফিলিস্তিনিদের সাথে সংহতি প্রকাশ করে হুথিরা লোহিত সাগর করিডোর দিয়ে চলাচলকারী জাহাজগুলোতে নিয়মিত আক্রমণ করত। ২০২৩ সালের শেষের দিক থেকে এই গোষ্ঠীটি লোহিত সাগরে জাহাজগুলোতে অসংখ্য আক্রমণ করেছে। যেসব জাহাজ ইসরায়েল বা তার সমর্থকদের সাথে যুক্ত বলে মনে হতো তাতেই হামলা করা হতো।

এই হামলার ফলে লোহিত সাগর এবং বিশ্বের অন্যতম ব্যস্ততম জাহাজ চলাচল রুট সুয়েজ খালের মধ্য দিয়ে বাণিজ্য প্রবাহ ব্যাহত হয়েছে। কিন্তু ১০ অক্টোবর গাজায় ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধবিরতি শুরু হওয়ার পর থেকে বিদ্রোহী গোষ্ঠী কোনো হামলার দায় স্বীকার করেনি।

সূত্র : কালবেলা

Post a Comment

0 Comments