পুকুরে মিলল অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধূর বস্তাবন্দি মরদেহ
নিখোঁজের ৭ দিন পর গোপালগঞ্জের মুকসুদপুরে বাড়ির পাশের একটি পুকুর থেকে ইতি বেগম (২১) নামে চার মাসের অন্তঃসত্ত্বা এক গৃহবধূর বস্তাবন্দি মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। প্রাথমিকভাবে হত্যাকাণ্ড বলে ধারণা করা করছে পুলিশ। এ ঘটনার পর থেকে স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজন পলাতক রয়েছে।
রোববার (৩০ নভেম্বর) রাতে মুকসুদপুর উপজেলার গোবিন্দপুর ইউনিয়নের লতিফপুর গ্রামের লায়েক শেখের পুকুর থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
মুকসুদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তফা কামাল বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
নিহত গৃহবধূ ইতি বেগম মুকসুদপুর উপজেলার গোবিন্দপুর ইউনিয়নের লতিফপুর গ্রামে রাসেল শেখের স্ত্রী ও জামালপুর জেলার দৌলতপুর সরিষাবাড়ী থানার দৌলতপুর গ্রামের ইদ্রিস আলীর মেয়ে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, প্রায় তিন বছর আগে মুকসুদপুর উপজেলার লতিফপুর গ্রামের লায়েক শেখের ছেলে রাসেল শেখের সঙ্গে ইতি বেগমের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে মনোমালিন্য ও ঝগড়াঝাঁটি চলে আসছিল। গত ২৪ নভেম্বর বাড়ি থেকে বের হবার পর নিখোঁজ হন গৃহবধূ ইতি বেগম। এর তিন দিন পর গত ২৭ নভেম্বর স্বামী রাসেল শেখ মুকসুদপুর থানা একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। এ ঘটনার ৭ দিন পর রোববার রাতে বাড়ির পাশের একটি পুকুর থেকে ওই অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনার পর থেকে ইতির স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজন পলাতক রয়েছে।
এ বিষয়ে মুকসুদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তফা কামাল বলেন, রাতে পুকুরে একটি বস্তা দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দেয় স্থানীয়রা। পরে ঘটনাস্থলে গিয়ে বস্তা থেকে চার মাসের অন্তঃসত্তা গৃহবধূ ইতি বেগমের মরদেহ উদ্ধার করে।
তিনি আরও বলেন, গৃহবধূর হাত, পা, মুখ কাপড় দিয়ে বাঁধা ছিল। প্রাথমিকভাবে এটি হত্যাকাণ্ড বলে ধারণা করা হচ্ছে। এ ঘটনার পর থেকে স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজন পলাতক রয়েছে। বিষয়টি গুরুত্বসহকারে খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ গোপালগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
সূত্র : কালবেলা

0 Comments