Header Ads Widget

Responsive Advertisement

এক হাজার টাকার জন্য বিএনপি কর্মীকে হত্যাচেষ্টা, অতঃপর...

 

আটককৃত ভাড়াটে খুনি শফিক মিয়া (লাল চিহ্নিত)। ছবি : কালবেলা


এক হাজার টাকার জন্য বিএনপি কর্মীকে হত্যাচেষ্টা, অতঃপর...


নরসিংদীর রায়পুরায় মাত্র এক হাজার টাকার বিনিময়ে বিএনপির এক কর্মীকে হত্যার অভিযোগে নামের এক যুবককে আটক করেছে স্থানীয়রা।

রোববার (২৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে তাকে এলাকাবাসী পুলিশের কাছে সোপর্দ করে।

এর আগে, গত শনিবার (২৭ সেপ্টেম্বর) রাত ১টার দিকে উপজেলার মরজাল এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

আটককৃত শফিক মিয়া (২৭) পার্শ্ববর্তী বেলাব উপজেলার উজিলাব গ্রামের হযরত আলীর ছেলে। সে মাদকাসক্ত এবং বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত বলে স্থানীয়ভাবে অভিযোগ রয়েছে।

এলাকাবাসীর জিজ্ঞাসাবাদে আটককৃত শফিক জানায়, মরজাল এলাকার কৃষক মো. মিস্টার মিয়াকে হত্যার জন্য স্থানীয় যুবক অপু মিয়া তাকে এক হাজার টাকায় ভাড়া করেন। এ ঘটনায় অপুর সঙ্গে আরও তিন সহযোগী জড়িত ছিলেন। তারা হলেন—মরজালের সুমন মিয়া এবং বেলাব উপজেলার উজিলাব এলাকার রাসেল ও তোফাজ্জল।

তিনি আরও জানান, পরিকল্পনা অনুযায়ী তাকে বলা হয়েছিল রাতে কৃষক মিস্টারের দরজায় টোকা দিতে। মিস্টার বের হলেই তাকে গুলি করে হত্যা করার কথা ছিল। তাদের কাছে আগ্নেয়াস্ত্রও ছিল। কিন্তু সে ধরা পড়ায় পরিকল্পনা ভেস্তে যায় এবং বাকিরা পালিয়ে যায়।

ভুক্তভোগীর পরিবার ও স্থানীয়রা জানান, মরজাল এলাকার বাবুল মিয়ার ছেলে কৃষক মিস্টারের সঙ্গে একই এলাকার হাবিবুর রহমানের ছেলে অপুর দীর্ঘদিনের বিরোধ ছিল। সেই বিরোধের জেরে কিছুদিন আগে অপু ও তার সহযোগীরা মিস্টারকে পিটিয়ে আহত করে। এরই ধারাবাহিকতায় শনিবার রাতে সহযোগীদের নিয়ে মিস্টারকে হত্যার পরিকল্পনা করেন অপু। এ পরিকল্পনা অনুযায়ী শফিক ঘটনার দিন রাতে মিস্টারের ঘরের দরজায় টোকা দেয়। এত রাতে দরজায় টোকার শব্দে পরিবারের লোকজন সচেতন হয়ে দরজা খুলে। এসময় একের অধিক লোক দেখে তারা পালানোর চেষ্টাকালে শফিককে এলাকাবাসী ধরে ফেলে।

ভুক্তভোগী কৃষক মিস্টার মিয়া বলেন, ‘অপুর লোকজন আমাকে হত্যার পরিকল্পনা করেছিল। একজনকে ধরে পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছি। এ ঘটনায় আমি থানায় অভিযোগ দায়ের করেছি।’

বিএনপির বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক সহসম্পাদক প্রকৌশলী আশরাফ উদ্দিন বকুল বলেন, ‘মিস্টার আমাদের দলের কর্মী। তাকে হত্যার জন্য মাত্র এক হাজার টাকায় খুনি ভাড়া করা হয়েছিল। অপু নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের সদস্য ছিল। এলাকায় কাউকে সন্ত্রাসী রাজত্ব করতে দেওয়া হবে না। আমরা জড়িত সবার গ্রেপ্তারের দাবি জানাচ্ছি।’

এ বিষয়ে জানতে রায়পুরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আদিল মাহমুদের মোবাইলে একাধিকবার কল দিলেও তিনি রিসিভ করেননি।

সূত্র : কালবেলা

Post a Comment

0 Comments