Header Ads Widget

Responsive Advertisement

রোগ নির্ণয় সহজ ও কার্যকর করবে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা

 



রোগ নির্ণয় সহজ ও কার্যকর করবে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা


এক্স-রে, সিটিস্ক্যান, এমআরআই, আলট্রাসনোগ্রাফির মতো চিত্রভিত্তিক পরীক্ষা থেকে রোগ নির্ণয়ে সময় ও নির্ভুলতা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এ কাজে সহায়ক হতে পারে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই। প্রযুক্তিটি ব্যবহারের মাধ্যমে রোগ শনাক্ত আরও সহজ, দ্রুত ও কার্যকর হবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

গতকাল মঙ্গলবার রাজধানীর বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএমইউ) সুপার বিশেষায়িত হাসপাতালে এক সেমিনারে এসব কথা বলেন বক্তারা।
‘অ্যান আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স অ্যানাবেল্ড ওয়েব-অ্যাপ্লিকেশন ফর অ্যাসিসটিভ অনলাইন রিপোর্টিং অব রেডিওলজিক্যাল ইমেজেস’ শীর্ষক গবেষণার ফলাফল উপস্থাপন উপলক্ষে এ সেমিনার হয়। যৌথভাবে আয়োজন করে বিএমইউ ও বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট)। গবেষণায় অর্থায়ন করেছে বিশ্বব্যাংক।
মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করে বুয়েটের অধ্যাপক তৌফিক হাসান বলেন, রেডিওলজিক্যাল চিত্র বিশ্লেষণের মাধ্যমে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাভিত্তিক সফটওয়্যার স্বয়ংক্রিয়ভাবে রোগ শনাক্ত করতে পারে। এতে সময় বাঁচে, নির্ভুলতা বাড়ে এবং চিকিৎসা দ্রুত শুরু করা সম্ভব হয়।

প্রধান অতিথির বক্তৃতায় বুয়েটের উপাচার্য অধ্যাপক আবু বোরহান মোহাম্মদ বদরুজ্জামান বলেন, উন্নত প্রযুক্তির যুগে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা চিকিৎসাবিজ্ঞানে একটি বিশেষ স্থান দখল করেছে। তবে এর ব্যবহার যেন দেশের প্রেক্ষাপট ও চাহিদা অনুযায়ী উপযোগী হয়, তা নিশ্চিত করতে হবে।
সভাপতির বক্তব্যে বিএমইউ উপাচার্য অধ্যাপক ডা. শাহিনুল আলম বলেন, বিএমইউ ও বুয়েট একসঙ্গে কাজ করলে দেশের স্বাস্থ্যসেবায় নতুন দিগন্তের সূচনা হবে। চিকিৎসক ও প্রকৌশলীদের যৌথ প্রচেষ্টায় উদ্ভাবিত প্রযুক্তি সরাসরি রোগীর উপকারে আসবে।

সেমিনারে আরও বক্তৃতা করেন বিএমইউর উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ, উপ-উপাচার্য (গবেষণা ও উন্নয়ন) অধ্যাপক ডা. মুজিবুর রহমান হাওলাদার, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. নাহরীন আখতার, রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ডা. নজরুল ইসলাম, ক্লিনিক্যাল ক্যান্সারবিদ্যা বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. সৈয়দ মো. আকরাম হোসেন প্রমুখ।
সেমিনারে জানানো হয়, উন্নত বিশ্বে রেডিওলজি প্রতিবেদনে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ইতোমধ্যে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। বাংলাদেশেও এ প্রযুক্তির স্থানীয় উন্নয়ন ও প্রয়োগ চিকিৎসা খাতে যুগান্তকারী পরিবর্তন আনতে পারে।

তথ্যসূত্র: সমকাল

Post a Comment

0 Comments