Header Ads Widget

Responsive Advertisement

পদত্যাগপত্রে যা লিখলেন নেপালের প্রধানমন্ত্রী অলি

 

ছবি : সংগৃহীত


পদত্যাগপত্রে যা লিখলেন নেপালের প্রধানমন্ত্রী অলি


নেপালে টানা বিক্ষোভ, সহিংসতা মুখে পদত্যাগ করেছেন প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা অলি। দেশে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম বন্ধ ও দুর্নীতির প্রতিবাদে বিক্ষোভ চলাকালীন ১৯ জন নিহত হওয়ার পর মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) দুপুরে পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নেন তিনি। প্রেসিডেন্টের কাছে জমা দেওয়া তার পদত্যাগপত্র ইতোমধ্যেই গৃহীত হয়েছে।

পদত্যাগপত্রে অলি লিখেছেন— “মাননীয় প্রেসিডেন্ট, নেপালের সংবিধানের ৭৬(২) অনুচ্ছেদ অনুসারে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের পর, বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে রাজনৈতিক সমাধানের পথ খোঁজা এখন জরুরি হয়ে পড়েছে। সে কারণে সংবিধানের ৭৭(১)(ক) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী আজ থেকেই আমি প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করছি।”

অলির পদত্যাগ ঘোষণার দিনও নেপাল উত্তাল ছিল বিক্ষোভে। রাজধানী কাঠমান্ডুসহ বিভিন্ন শহরে কারফিউ উপেক্ষা করে মানুষ রাস্তায় নেমে আসে। তারা প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগের দাবিতে মিছিল করে এবং প্রেসিডেন্ট ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে আগুন ধরিয়ে দেয়। এমনকি বিক্ষোভকারীরা পার্লামেন্ট ভবনেও প্রবেশ করে অগ্নিসংযোগ করে।

পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে কর্তৃপক্ষ বিমান চলাচল বন্ধ করে দেয়। দেশের সেনাপ্রধান ও স্থানীয় রাজনৈতিক নেতারা প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগের দাবি জানান। সেনাবাহিনী হেলিকপ্টার ব্যবহার করে ভাইসে প্রেসিডেন্টের বাসভবন থেকে মন্ত্রীদের সরিয়ে নিতে শুরু করে, কারণ তাদের বাড়িঘরে হামলা ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা বাড়ছিল।

এই সহিংস বিক্ষোভের সূত্রপাত হয়েছিল ৪ সেপ্টেম্বর সরকারের এক সিদ্ধান্তকে ঘিরে। সেদিন ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ, ইনস্টাগ্রাম, ইউটিউবসহ ২৬টি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম প্ল্যাটফর্ম বন্ধ করে দেওয়া হয়। এর প্রতিবাদে প্রথমে শান্তিপূর্ণ মিছিল শুরু হলেও তা দ্রুত সহিংসতায় রূপ নেয়।

সোমবার (৮ সেপ্টেম্বর) বিক্ষোভকারীরা পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে পার্লামেন্টের সংরক্ষিত এলাকায় ঢোকার চেষ্টা করলে সংঘর্ষ বাধে। পুলিশ লাঠিচার্জ করে ছত্রভঙ্গ করার চেষ্টা করে। পরিস্থিতি হাতের বাইরে চলে যাওয়ায় রাজধানীতে জারি হয় কারফিউ। তরুণ প্রজন্ম এই আন্দোলনকে নাম দিয়েছে— ‘জেন-জি রেভল্যুশন।’

গত দুই দিনের সহিংসতায় অন্তত ১৯ জন প্রাণ হারিয়েছেন এবং অসংখ্য মানুষ আহত হয়েছেন। এর দায় নিয়ে মন্ত্রিসভার কয়েকজন সদস্য আগেই পদত্যাগ করেছিলেন। শেষ পর্যন্ত চাপের মুখে পদ ছাড়লেন স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা অলি।

সূত্র : কালবেলা


Post a Comment

0 Comments